সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ - ১৭:০০
ইরানী হাওজায়ে ইলমিয়ার প্রধান আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আরাফি

হাওজা / পবিত্র কোম নগরীতে অনুষ্ঠিত হাওজায়ে ইলমিয়ার গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও সহকারীদের সাথে এক বৈঠকের বক্তৃতায় ইরানী হাওজায়ে ইলমিয়ার প্রধান আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আরাফি তরুণদের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা সমাধান এবং বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব প্রদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিদ্দিকায়ে তাহিরা হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)’র বেলাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ইরানের হাওজায়ে ইলমিয়ার প্রধান আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আ’রাফি বলেন, হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) একজন মহান বুদ্ধিজীবী নেত্রী।  তিনি শুধুমাত্র মাসুম ইমামদের (আ.) মা নন, তাঁর জীবন একটি উদাহরণ যা সমগ্র মানবতার জন্য আলোর বাতিঘর।

হযরত যাহরা (সা.আ.)’র জ্ঞান ও ইবাদতের মাহাত্ম্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর ইবাদত ফেরেশতাদের জন্য গর্বের উৎস এবং তাঁর ব্যক্তিত্ব ছিল বুদ্ধিবৃত্তিক ও আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা ও নেতৃত্বের অক্ষ ও কেন্দ্রবিন্দু।

সাংস্কৃতিক ঘাটতি পূরণে মাদ্রাসার ভূমিকা

মাদ্রাসাগুলোর বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মাদ্রাসাগুলো শুধু ধর্মীয় বিষয়ের জবাবদাতাই নয়, অন্যান্য বিষয়েরও জবাবদাতা। আয়াতুল্লাহ আরাফী বলেন, মাদ্রাসাগুলো ধর্ম ও সংস্কৃতির স্থপতি ও নেতা না হলে তাদের প্রকৃত অবস্থান ও মর্যাদা হারাবে।

তরুণ ও যুবসমাজের আত্মিক ও মানসিক সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

আয়াতুল্লাহ আ’রাফী তরুণ প্রজন্মের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, হাওজায়ে ইলমিয়া তথা ধর্মীয়  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমন ধারণা উপস্থাপন করতে হবে যা তরুণদের মানসিক সমস্যার সমাধান করতে পারে। শহীদ মোতাহারির উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, আধুনিক যুগের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য তাঁর ধারণা খুবই সময়োপযোগী এবং এ ধরনের আরও ধারণা তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।

গবেষণা ও অধ্যয়নের গুরুত্ব

তিনি জ্ঞানের ক্ষেত্রে গবেষণা কাজের পরিধি সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ধর্মীয় গবেষণায় এমন ভিত্তি স্থাপন করতে হবে যা বর্তমান ও ভবিষ্যত যুগের সমস্যার সমাধান করতে পারে।  তিনি বলেন, মাদ্রাসার গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমন ধারণা ও থিওরী তৈরি করতে হবে যা ব্যবহারিক ও সাংস্কৃতিক চাহিদা মেটাতে পারে।

সাংস্কৃতিক পরিচয়ের ক্ষেত্রে নতুনত্ব এবং প্রজন্মের নির্দেশিকা

আয়াতুল্লাহ আ’রাফি বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে, হাওজায়ে ইলমিয়াকে তার সাংস্কৃতিক পরিচয় তুলে ধরতে এবং আধুনিক সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের কাছে ধর্মীয় শিক্ষা তুলে ধরার ক্ষেত্রে আধুনিক উপায় ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন।

আয়াতুল্লাহ আ’রাফির মতে, হাওজায়ে ইলমিয়া বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা ওধারণাগুলো উপস্থাপন করা নয় বরং সেগুলোকে বাস্তবে প্রয়োগ করা, যাতে বর্তমান সময়ের সমস্যাগুলোকে আরও ভালোভাবে বোঝা ও সমাধান করা যায়।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha